Breaking

বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০

একজন মুসলমানের প্রকৃতপক্ষে কি আক্বীদা রাখা দরকার ?

-: আক্বীদার বর্ণনা :-


একজন মুসলমানের প্রকৃতপক্ষে কি আক্বীদা রাখা দরকার ?

সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে তা লিপিবদ্ধ করা হল :---
(২৩) রসুলের (সঃ) স্ত্রীগণ ও সন্তানাদি সর্বদা সম্মানের যােগ্য, সন্তানদের
মধ্যে সর্ব সম্মানিতা হলেন হজরতে ফাতিমা (রাজিঃ), স্ত্রীগণের মধ্যে সর্ব
সম্মানিতা হলেন হজরতে খাদিজা ও আয়েশা (রাজিঃ)। (২৪) যখন কোনাে
মানুষ মারা যায়, তখন মুনকার ও নাকির নামক দুজন ফেরিস্তাহ আসেন।
এবং মৃত ব্যক্তি কে তিনটি প্রশ্ন করেন। ক) তােমার রব (প্রভু) কে? খ)
তােমার দ্বীন (ধর্ম) কি? গ) রসুলুল্লাহ সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
ব্যাপারে (ছবি দেখিয়ে) জানতে চান তিনি কে? ইমানদার ব্যক্তি সঠিক উত্তর
দেয়, তারজন্য সব রকমের আরামের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, সে কিয়ামত
পর্যন্ত তৃপ্তির ঘুম ঘুমিয়ে যায় আর বেইমান ব্যক্তি বলে ‘হা-হা- লা
আদরী’ আমি কিছু জানি না, ফলে সে কিয়ামত পর্যন্ত আযাব বা শাস্তি।
ভােগ করতে থাকে।


 (২৫) মৃত ব্যক্তিদের জন্যে দুয়া করলে, কিছু দান।
খয়রাত করলে, যে কোনাে নফল এবাদত করলে তারা সাওয়াব পায়। (২৬)
আল্লাহ তায়ালা ও রসুলুল্লাহ সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিয়ামতের যে
সকল আলামত বা নিশানি বলেছেন সেগুলি অবশ্যই ঘটবে। (২৭) সকল
নিশানি শেষ হবার পর কিয়ামত ঘটবে, হজরতে ইস্রাফিল (আঃ) আল্লাহ
তায়ালার আদেশে সুর বা বাঁশি বাজাবেন, প্রথম বার বাঁশি বাজার কারণে
আকাশ ফেটে টুকরাে টুকরাে হয়ে যাবে, সকল মাখলুক মৃত্যুবরণ করবে,
সকল আত্মা বেহুঁশ হয়ে যাবে অর্থাৎ পৃথিবী নিঃশ্বেষ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় বার
বাঁশি বাজার ফলে সারা বিশ্বজগৎ পুনরায় সৃষ্টি হয়ে যাবে, সকল মাখলুক।
কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তায়ালার সামনে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে যাবে,
আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা সল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
সুপারিশে হিসাব শুরু হয়ে যাবে।

 (২৮) কিছু লােক বিনা হিসাবে জান্নাতে
চলে যাবে, কিছু লােক জাহান্নামী হবে, সকলকেই পুলসিরাত পার হতে হবে,
সৎ লােকেরা দ্রুত গতিতে পার হবে ও অসৎ লােকেরা জাহান্নামের গর্তে
পড়ে হাবুডুবু খাবে। (২৯) দেখে বা জাহান্নাম সৃষ্টি হয়ে গেছে, তাতে সাপ,
বিছে, আগুন, পাথর, হাতুড়ি ইত্যাদি বহু প্রকারের আযাব বা শাস্তি আছে।
যাদের ইমান থাকবে তারা নিজেদের আমলের শাস্তি ভােগ করার পর
সুপারিশের ফলে জান্নাতে যাবে, কিন্তু কাফির, মুশরিক ও বেইমানেরা সর্বদা
সেখানে জ্বলতে থাকবে।
(৩০) বেহেশু বা জান্নাতও সৃষ্টি হয়ে গেছে, তাতে বিভিন্ন প্রকার শান্তি ও
নিয়ামতসমূহ আছে, জান্নাতীরা সেখানে চিরকাল বিরাজ করবে বা থাকবে।
(৩১) আল্লাহ তায়ালার সম্পূর্ণ ইচ্ছাধীন যে তিনি কোন গােনাহতে শাড়ি।
দেবেন ও কোন গােনাহ ক্ষমা করে দেবেন।

(৩২) আল্লাহ তায়ালা শিরক ও কুফরের গােনাহ ক্ষমা করেন না।
(৩৩) মানুষ সারা জীবনে যখনই নিজের কৃতকর্ম-এর জন্য তাউবা করবে,
আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করে নেবেন কিন্তু মৃত্যুযন্ত্রনার সময় এসে গেলে
আর না তাউবা কবুল হয়, না ইমান। (সংক্ষিপ্তসার- বেহেশতি জেওর)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন