** তুহারত বা পবিত্রতার বর্ণনা **
আল্লাহ তায়লা কোরাণে করিমে ঘােষণা দিয়েছেন -‘যখন তােমরা নামাজেরজন্য দাঁড়াবে অর্থাৎ নামাজ পড়ার ইরাদা করবে বা ইচ্ছা করবে তখন -
তােমরা তােমাদের মুখমন্ডল ধুয়ে নাও, হাতদুটো (কুনুই পর্যন্ত) ধুয়ে নাও,
মাথাটা (এক চতুর্থাংশ) মাসাহ করে নাও ও পা দুটো (টাখনু পর্যন্ত) ধুয়ে
নাও।”এবং নবী করিম (সঃ) বলেছেন -
‘নামাজের চাবি হল পবিত্রতা৷’(তিরমিযি)।
* যেহেতু সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত নামাজের চাবি হল ত্বহারত বা পবিত্রতা এবং
অন্যান্য অনেক এবাদতের জন্যেও পবিত্রতা আবশ্যক শর্ত, তাছাড়া পবিত্রতা
ও পরিচ্ছনতা হল ইমান ও ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, তাই আমরা
তৃহারত বা পবিত্রতা ও পরিচ্ছনতা সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ও খােলাখুলি আলােচনা করব ইনশাআল্লাহ।
পবিত্রতা প্রথমত দুপ্রকার (ক) বড় নাপাকী থেকে পবিত্র হওয়া বা গোসল করা (খ) ছােটো নাপাকী থেকে পবিত্র হওয়া বা অজু করা।
(ক) গােসলের বর্ণনা :-
* কি কি কারণে গােসল ফরজ হয় ?।• গােসল ফরজ হয় বা জরুরী হয়ে পড়ে সাতটি (৭)কারণে, যথা :
(১) উত্তেজনার সাথে বীর্য নির্গত হলে। (২) স্বপ্ন দোষ হলে অর্থাৎ ঘাম
থেকে জাগ্রত হয়ে পােষাকে ভিজে ভাব দেখতে পেলে, তাতে স্বপ্ন মনে
থাকুক বা না থাকুক।
(৩) স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে, বীর্য নির্গত হােক বা না
হােক। (উভয়ের উপর) (৪) হায়েজ শেষ হলে। (৫) নিফাস শেষ হলে।
(৬) লাওয়াতাত বা পুং সঙ্গম করলে। (৭) মৃত ব্যক্তি ও প্রাণী সঙ্গম করলে।
ও বীর্য নির্গত হলে। (নুরুল ইজাহ ৩৯পৃ ও মারাকিল ফালাহ) ।
উপরিলিখিত জিনিসগুলির মধ্যে কোনাে ব্যক্তির যেকোনাে একটি ঘটলে
তার উপরে গােসল করা ফরজ হয়ে যায় অর্থাৎ গােসল না করা পর্যন্ত সে
নাপাক বা অপবিত্র রইল। রসুলে পাক (সঃ) এর পবিত্র এরশাদ ‘ঐ ঘরে
রহমতের ফেরেস্তা প্রবেশ করে না, যে ঘরে ছবি বা কুকুর অথবা জুনুবী
(নাপাক) ব্যক্তি থাকে।' (আবু দাউদ ১ম খন্ড ৩০পৃ)
* গােসল ফরজ থাকার কারণে নামাজ কাজা করে ঐ অবস্থায় ঘুরে বেড়ানাে
মস্ত বড় গােনাহ, সুতরাং আমাদের সকলের এইরকম ঘৃণিত কাজ কখনও
করা উচিত নয়।
গোসলের কয়টি ফরজ ও কি কি,,,,,,পরের post এ আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন